বিষয়; দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি (Philosophical Approach)
প্রশ্নমালা;
১) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় দার্শনিক
দৃষ্টিভঙ্গিটি (Philosophical, Approach) আলোচনা করো। ১২
২) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত
টিকা লেখ। ৬
উত্তরঃ
ভূমিকা;
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা রাজনৈতিক বিজ্ঞান হল সমাজের বিভিন্ন
রাজনৈতিক ঘটনা, প্রতিষ্ঠান এবং দৃষ্টিভঙ্গির গভীর ও
বিশ্লেষণী অধ্যয়ন। রাজনৈতিক বিজ্ঞানকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি। দার্শনিক
দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে একটি মৌলিক ও তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রদান করে এবং এটি
রাষ্ট্র,
ক্ষমতা, ন্যায়, নৈতিকতা ও মানবিক আচরণ সম্পর্কিত গভীর প্রশ্নগুলির উত্তর
খোঁজার চেষ্টা করে।
সংজ্ঞা;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি হল এমন একটি বিশ্লেষণী কাঠামো যা
রাষ্ট্র এবং সমাজের বিভিন্ন দিকগুলি সম্বন্ধে মৌলিক এবং তাত্ত্বিক প্রশ্নগুলির
উত্তর খোঁজে। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং প্রতিষ্ঠানগুলির নৈতিক ও দার্শনিক ভিত্তি
অনুসন্ধান করে। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক তত্ত্বের মূলসূত্রগুলির মধ্যে
আলোচনার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যেখানে নৈতিকতা, ন্যায়, এবং মানব অধিকারের মতো বিষয়গুলি
কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকে।
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তাদের মধ্যে প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হেগেল, রুশো, এবং জন স্টুয়ার্ট মিল-এর নাম উল্লেখযোগ্য। প্লেটোর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রের একটি আদর্শ সংস্করণের জন্য নির্দিষ্ট ধারণা প্রদান করে। তিনি "গণতন্ত্র" এবং "ন্যায়" এর ধারণাগুলি নিয়ে আলোচনা করেন, যেখানে রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।আরিস্টটল রাষ্ট্রের প্রকৃতি এবং তার কার্যক্রম বিশ্লেষণে আরিস্টটল বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি রাষ্ট্রকে মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করেন এবং এর উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।হেগেল রাষ্ট্রকে "বিশ্ব আত্মা" হিসেবে বিবেচনা করেন, যা সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিকাশের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তার দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রের নৈতিক ও ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে গভীর চিন্তাভাবনা প্রদান করে।
প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য;
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রের
মৌলিক প্রশ্নগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয় এবং সমাজের কার্যক্রমকে একটি নৈতিক ও আদর্শবাদী
প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে। নিচে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল-
i) নৈতিক ও আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর নৈতিক ও
আদর্শবাদী ভিত্তি। এটি রাষ্ট্রের নীতি, আইন এবং সামাজিক আচরণের মৌলিক নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতি গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রের
অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা কেবল আইন ও বিধির ওপর নির্ভর করে না; বরং এটি নৈতিকতা ও মানবিক আদর্শের সাথে সংযুক্ত।
উদাহরণস্বরূপ, প্লেটো তাঁর The Republic গ্রন্থে আদর্শ
রাষ্ট্রের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে নৈতিক ও ন্যায়িক উপাদানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ii) সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ
করে। এটি বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে রাষ্ট্র সমাজের একটি অঙ্গ, এবং কিভাবে রাষ্ট্র সামাজিক কাঠামোর উন্নতির জন্য কাজ করে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং আইন সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু উপকারী বা ক্ষতিকর হতে
পারে,
তা বোঝার জন্য দার্শনিক বিশ্লেষণ অপরিহার্য। উদাহরণস্বরূপ, জন রসের সামাজিক চুক্তির তত্ত্ব রাষ্ট্রের সামাজিক ভিত্তিকে
নির্দেশ করে, যেখানে জনগণের সম্মতি রাষ্ট্রের
বৈধতা প্রদান করে।
iii) মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি মানব প্রকৃতি ও আচরণের প্রতি গভীর
মনোযোগ দেয়। এটি প্রশ্ন তোলে, "মানুষ কেন
রাষ্ট্রের জন্য আবশ্যক?" এবং "মানব
প্রাকৃতিক গুণাবলীর কি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সফলতার জন্য প্রয়োজন?" রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রমের মূল কারণ হিসেবে মানুষের
মনস্তত্ত্ব ও আচরণকে বোঝার চেষ্টা করা হয়। এই দৃষ্টিকোনটি মানবাধিকার ও সমঅধিকারকে
গুরুত্ব দেয়, যা রাষ্ট্রের নীতির ভিত্তি হিসেবে
কাজ করে।
iv) প্রগতিশীল চিন্তা;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর
প্রগতিশীল চিন্তা। এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়াকে প্রতিফলিত করে
এবং নতুন ধারণা ও নীতির জন্য প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক
উদ্ভাবন ও অগ্রগতির পক্ষে দাঁড়ায় এবং আধুনিক রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা
করার জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রস্তাব করে। উদাহরণস্বরূপ, হেগেলের দার্শনিক চিন্তাভাবনা রাষ্ট্রের ইতিহাসের বিবর্তনকে
বোঝায় এবং সামাজিক পরিবর্তনের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
v) বহু দৃষ্টিভঙ্গি;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
ও তত্ত্বের সমন্বয়কে স্বীকার করে। এটি একক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি একপেশে মনোভাবের
বিপরীত। রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন প্রশ্নের বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে সমাধান
প্রস্তাব করতে পারে, যেমন মার্কসবাদ, লিবারেলিজম, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দার্শনিক প্রভাবের সংমিশ্রণ রাষ্ট্রের নীতি ও
কর্মপ্রবাহের বিভিন্ন দিক বোঝার জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি প্রদান করে।
সমালোচনাঃ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচিত
হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ন কিছু সমালোচনা নীচে আলোচনা করা হল-
i) অবাস্তবতা;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান সমালোচনা হলো এর
অবাস্তবতা। অনেক দার্শনিক তত্ত্ব বাস্তব জীবনের পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তারা সাধারণত আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা দেয়, যা বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব। এই ধরনের
তত্ত্বগুলি রাজনৈতিক বাস্তবতার জটিলতা এবং পরিবর্তনশীলতা উপেক্ষা করে, ফলে রাষ্ট্রের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
ii) একক দৃষ্টিকোন;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই একটি একক দৃষ্টিকোনের উপর
ভিত্তি করে গঠিত হয়, যা অন্যান্য
দৃষ্টিকোন এবং সামাজিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারে। যেমন, প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং
অন্যান্য দার্শনিকরা তাদের নিজস্ব তত্ত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রকৃতি ব্যাখ্যা
করেন,
যা প্রায়শই অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সমন্বয় করার সুযোগ
দেয় না।
iii) নৈতিকতার অভাব;
অনেক সময় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তব জীবনে নৈতিকতার
সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে। তাত্ত্বিকভাবে দার্শনিকরা নৈতিকতার উচ্চ মানদণ্ড নিয়ে
আলোচনা করেন, কিন্তু বাস্তব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে
নৈতিকতার প্রয়োগ অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক নেতারা প্রায়শই
বাস্তব জীবনে নৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে এসে ক্ষমতা ধরে রাখতে অথবা কৌশলগত
কারণে আপস করতে বাধ্য হন।
iv) আধ্যাত্মিকতা;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আধ্যাত্মিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্ন। অনেক দার্শনিক রাষ্ট্রকে একটি আধ্যাত্মিক বা আদর্শিক সত্তা হিসেবে দেখেন, যা বাস্তব সমাজের সাথে সংযোগে থাকে। তবে, এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই সমাজের রাজনৈতিক সমস্যা এবং
চ্যালেঞ্জগুলোকে উপেক্ষা করে, যা একটি বিমূর্ত ধারণার দিকে নিয়ে যায়। এ কারণে, বাস্তবতার সাথে আধ্যাত্মিকতা বিরোধী হয়ে যায় এবং রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ডের কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
v) গঠনমূলক চিন্তাধারার অভাব;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই গঠনমূলক চিন্তাধারার অভাবে
ভোগে। এটি রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে কার্যকর কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনার অভাব তৈরি
করে। দার্শনিকরা সাধারণত তত্ত্ব এবং নীতিমালার প্রতি বেশি মনোযোগী, কিন্তু বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলির সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ
নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন গঠনমূলক চিন্তাভাবনা থাকে না।
উপসংহার;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি মৌলিক এবং
গুরুত্বপুর্ণ অংশ। এটি রাষ্ট্র, ক্ষমতা, ন্যায় এবং মানব আচরণ সম্পর্কিত মৌলিক প্রশ্নগুলির প্রতি
গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। যদিও এর কিছু সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা রয়েছে, তথাপি দার্শনিক বিশ্লেষণের গুরুত্ব রাজনৈতিক চিন্তায়
অপরিসীম। একটি সুস্থ এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক চিন্তায়
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) দার্শনিক
দৃষ্টিভঙ্গির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি হল এমন একটি বিশ্লেষণী কাঠামো যা
রাষ্ট্র এবং সমাজের বিভিন্ন দিকগুলি সম্বন্ধে মৌলিক এবং তাত্ত্বিক প্রশ্নগুলির
উত্তর খোঁজে। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং প্রতিষ্ঠানগুলির নৈতিক ও দার্শনিক ভিত্তি
অনুসন্ধান করে। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক তত্ত্বের মূলসূত্রগুলির মধ্যে
আলোচনার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যেখানে নৈতিকতা, ন্যায়, এবং মানব অধিকারের মতো বিষয়গুলি
কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকে।
২) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য
উল্লেখ করো।
উত্তরঃ দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য হল-
i) নৈতিক ও আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর নৈতিক ও
আদর্শবাদী ভিত্তি। এটি রাষ্ট্রের নীতি, আইন এবং সামাজিক আচরণের মৌলিক নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতি গুরুত্ব দেয়।
ii) সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ
করে। এটি বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে রাষ্ট্র সমাজের একটি অঙ্গ, এবং কিভাবে রাষ্ট্র সামাজিক কাঠামোর উন্নতির জন্য কাজ করে।
৩) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির তিনটি সমালোচনা
উল্লেখ করো।
উত্তরঃ দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি সমালোচনা হল-
i) অবাস্তবতা;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান সমালোচনা হলো এর
অবাস্তবতা। অনেক দার্শনিক তত্ত্ব বাস্তব জীবনের পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তারা সাধারণত আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা দেয়, যা বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।
ii) একক দৃষ্টিকোন;
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়শই একটি একক দৃষ্টিকোনের উপর
ভিত্তি করে গঠিত হয়, যা অন্যান্য
দৃষ্টিকোন এবং সামাজিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারে।
৪) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তা
কারা?
উত্তরঃ দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তাদের মধ্যে প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হেগেল, রুশো, এবং জন স্টুয়ার্ট মিল-এর নাম উল্লেখযোগ্য।
৫) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল ভিত্তি কী?
উত্তর: মানব প্রকৃতি ও নৈতিকতা
৬) দার্শনিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি
সম্পর্কে কী আলোচনা করা হয়?
উত্তর: দার্শনিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রের
উৎপত্তি মানুষের সামাজিক চাহিদা, নৈতিক মূল্যবোধ,
এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করা হয়।
৭) দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি সমাজে
ন্যায় কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়?
উত্তর: ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে
নৈতিক শিক্ষার প্রসার, সুশাসনের নীতি,
এবং শাসকদের মধ্যে নৈতিকতা থাকতে হবে।
৮) দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি সুবিধা উল্লেখ করো।
উত্তর: এটি রাষ্ট্রের মৌলিক সমস্যা ও নৈতিকতা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়।
অন্যান্য ইউনিভার্সিটির নোটস(UG)
যে ইউনিভার্সিটির নোটস দরকার তার ওপর ক্লিক করো
University
of Calcutta
Bankura
University
University
of Burdwan
Kazi
Nazrul University
University
of Kalyani
Sidho-Kanho-Birsha
University
Vidyasagar
University
West
Bengal State University
Cooch
Behar Panchanan Barma University
University
of North Bengal
University
of Gour Banga
0 মন্তব্যসমূহ