ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি; সংজ্ঞা, প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য, সমালোচনা।

Ad Code

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি; সংজ্ঞা, প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য, সমালোচনা।

বিষয়; ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি (Historical Approach)


১) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিটি আলোচনা করো। ১২

২) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত টিকা লেখ। ৬

উত্তরঃ

ভূমিকা;

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা যা রাষ্ট্র, সরকার, নীতি, এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করে। এই শৃঙ্খলায় বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাজনীতি ও সমাজের বিভিন্ন পরিবর্তন এবং উন্নয়নের পেছনে থাকা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হন

সংজ্ঞা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই পদ্ধতি, যা রাজনীতির ঘটনাবলী ও প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করা হয় যে, রাজনীতি কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। ঐতিহাসিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনৈতিক চিন্তার বিকাশের পেছনের কারণগুলো বোঝা যায়, এবং এর ফলে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর একটি প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতা তৈরি হয়।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তা হিসাবে অ্যারিস্টটল, হেগেল, কার্ল মার্কস, এবং ম্যাক্স ওয়েবার উল্লেখযোগ্য অ্যারিস্টটল রাজনীতির বিশ্লেষণে ইতিহাসের গুরুত্বকে তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রের গঠন এবং তাদের বিকাশের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন হেগেল ইতিহাসকে একটি বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেন যেখানে রাষ্ট্র একটি উচ্চতর আত্মচেতনার অভিব্যক্তি। হেগেলের মতে, ইতিহাসের প্রতি মানুষের উপলব্ধি এবং ক্রিয়াকলাপ একটি সমগ্র রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে কার্ল মার্কস  ইতিহাসকে একটি শ্রেণী সংগ্রামের ধারাবাহিক ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মতে, রাষ্ট্রের বিকাশের ইতিহাস মূলত শাসক এবং শোষিত শ্রেণীর দ্বন্দ্বের ফল।


প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি মৌলিক পদ্ধতি, যা ইতিহাসের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ করে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে আলোচনা করা হল-

i) ইতিহাসের গুরুত্ব;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ইতিহাসের গুরুত্ব। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিবর্তন ও তাদের প্রভাবকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে। ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলে এবং ভবিষ্যতে কি সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করে

ii) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে। সমাজের মূল্যবোধ, রীতি-নীতি এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনগুলি রাষ্ট্রের নীতিমালা এবং সরকারের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সিদ্ধান্তগুলি সেই সমাজের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করা হয়, যা রাষ্ট্রের পরিচয় ও গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

iii) বৈচিত্র্যময়তা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বৈচিত্র্যময়তা। এটি বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক পটভূমি এবং তাদের ইতিহাসের ভিন্নতা বুঝতে সহায়ক। এক দেশ থেকে অন্য দেশে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলি ভিন্ন হতে পারে, এবং এই বৈচিত্র্যকে বুঝতে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক আচরণের মধ্যে পার্থক্যগুলিকে উন্মোচন করতে সাহায্য করে

iv) পরিকল্পনা ও পরিবর্তন;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং পরিকল্পনার গুরুত্বকে তুলে ধরে। এটি রাজনৈতিক পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার ইতিহাস বিশ্লেষণ করে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়ক। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থার পরিবর্তনগুলি ইতিহাসের আলোকে বোঝা যায়, যা রাষ্ট্রের নীতির এবং কার্যকরী প্রক্রিয়ার পুনর্গঠনকে সহায়তা করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা আমরা দেখতে পাই কিভাবে একটি রাষ্ট্রের নীতিমালা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় এবং নতুন বাস্তবতার আলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়

v) ধারাবাহিকতা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ধারাবাহিকতা। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর মধ্যে সম্পর্ক এবং ক্রমবিকাশের দিকে মনোযোগ দেয়। রাজনৈতিক ইতিহাসের মধ্যে একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে, যেখানে অতীতের ঘটনা বর্তমানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলিতে অবদান রাখে। এই ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক ধারণার এবং প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করে, যা একটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ

সমালোচনাঃ

রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চায় ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচিত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ন কিছু সমালোচনা নীচে আলোচনা করা হল-

i) অত্যাধিক ইতিহাস নির্ভরশীলতা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম এবং প্রধান সমালোচনা হল এর অত্যাধিক ইতিহাস নির্ভরশীলতা। এই পদ্ধতি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে অতীতের ঘটনার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়, যা বর্তমানের প্রেক্ষাপট এবং সমস্যাগুলি বোঝার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে। অতীতের ঘটনার উপর নির্ভরশীলতা কখনও কখনও বর্তমানের বাস্তবতা ও প্রয়োজনগুলোকে উপেক্ষা করে, যার ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ কার্যকরী হতে পারে না

ii) বর্তমানের উপেক্ষা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানের পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বর্তমানের প্রেক্ষাপট, সামাজিক আন্দোলন, এবং প্রযুক্তির উন্নয়নকে অবহেলা করা হয়। বর্তমানের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির জন্য ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রযোজ্য হতে পারে না, কারণ এটি মূলত অতীতের ঘটনার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। ফলে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে অক্ষমতা দেখা দেয়

iii) অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি মাঝে মাঝে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। এটি অনেক সময় নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে গঠন করা হয়, যা বিশ্লেষণাত্মক এবং প্রমাণভিত্তিক নয়। এই কারণে, রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে বৈজ্ঞানিক এবং পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অভাব থাকে, যা রাজনৈতিক আচরণ এবং ফলাফল বোঝার ক্ষেত্রে একটি সমস্যা সৃষ্টি করে

iv) সীমাবদ্ধ বিশ্লেষণ;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি আরেকটি সমালোচনা হল এর সীমাবদ্ধ বিশ্লেষণ। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে একমাত্র অতীতের দিক থেকে দেখে, যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি, যেমন সামাজবিজ্ঞানী বা অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায় সীমাবদ্ধ। ফলে, ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বহুমুখী এবং জটিল স্বরূপ বোঝার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে

v) বৈচিত্র্যের অভাব;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি মাঝে মাঝে বৈচিত্র্যের অভাবের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং ঘটনাবলীর মধ্যে তুলনা করার সময় এটি অনেক সময় নির্দিষ্ট ধরণের ইতিহাসের দিকে মনোনিবেশ করে, যা অন্যান্য সংস্কৃতির এবং রাজনৈতিক পদ্ধতির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ, বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে একটি সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ তৈরি হয়

উপসংহার;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতির ইতিহাসের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর পেছনের কারণগুলি এবং তাদের পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বুঝতে সহায়ক। যদিও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবুও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এই দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব অপরিসীম। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের রাজনৈতিক চিন্তা ও বিশ্লেষণের একটি সমৃদ্ধ দিক প্রদান করে, যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে আরও গভীরতা ও প্রাসঙ্গিকতা দেয়

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই পদ্ধতি, যা রাজনীতির ঘটনাবলী ও প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করা হয় যে, রাজনীতি কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। ঐতিহাসিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনৈতিক চিন্তার বিকাশের পেছনের কারণগুলো বোঝা যায়, এবং এর ফলে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর একটি প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতা তৈরি হয়।

২) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য হল-

i) ইতিহাসের গুরুত্ব;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ইতিহাসের গুরুত্ব। এটি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিবর্তন ও তাদের প্রভাবকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করে। অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করে

ii) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে। সমাজের মূল্যবোধ, রীতি-নীতি এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনগুলি রাষ্ট্রের নীতিমালা এবং সরকারের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে।

৩) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি সীমাবদ্ধতা হল-

i) অত্যাধিক ইতিহাস নির্ভরশীলতা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম এবং প্রধান সমালোচনা হল এর অত্যাধিক ইতিহাস নির্ভরশীলতা। এই পদ্ধতি রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে অতীতের ঘটনার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়, যা বর্তমানের প্রেক্ষাপট এবং সমস্যাগুলি বোঝার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে।

ii) বর্তমানের উপেক্ষা;

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানের পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে। ফলে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে এই দৃষ্টিভঙ্গি অক্ষম

৪) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তা কারা?

উত্তরঃ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রবক্তা হিসাবে অ্যারিস্টটল, হেগেল, কার্ল মার্কস, এবং ম্যাক্স ওয়েবার উল্লেখযোগ্য

৫) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: এর মূল উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং পরিবর্তনসমূহকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বোঝা এবং বিশ্লেষণ করা।

৬) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মূল উপাদানগুলি কী কী?

উত্তর: এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রেক্ষাপট, সময়কাল, সামাজিক পরিবর্তন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিত্বের প্রভাব।

৭) রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি সুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তর: এটি রাজনৈতিক ঘটনার গভীরতর বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করার সুযোগ দেয়, যা বর্তমানের রাজনীতি বুঝতে সহায়তা করে।

৮) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি অতীতের ঘটনার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে, অন্যদিকে  আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সাম্প্রতিক ঘটনা ও তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ করে

৯) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি কোন ধরনের গবেষণা পদ্ধতি গ্রহণ করে?

উত্তর: এটি বর্ণনামূলক এবং বিশ্লেষণাত্মক গবেষণা পদ্ধতি গ্রহণ করে।

১০) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি কোন ধরনের তথ্য ব্যবহার করে?

উত্তর: এই দৃষ্টিভঙ্গি ইতিহাস, ঐতিহাসিক নথি, চুক্তি, এবং প্রাচীন গ্রন্থ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।


অন্যান্য ইউনিভার্সিটির নোটস(UG)

যে ইউনিভার্সিটির নোটস দরকার তার ওপর ক্লিক করো

University of Calcutta

Bankura University

University of Burdwan

Kazi Nazrul University

University of Kalyani

Sidho-Kanho-Birsha University

Vidyasagar University

West Bengal State University

Cooch Behar Panchanan Barma University

University of North Bengal

University of Gour Banga

Tripura University



Main Menu

Main Menu




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code