ভারতে দারিদ্রের বিভিন্ন কারন; causes of poverty in India

Ad Code

ভারতে দারিদ্রের বিভিন্ন কারন; causes of poverty in India

 

The University of Burdwan

B.A. 6th Semester

Political Science (Honours)

CC-14; Contemporary issues in India

চতুর্থ অধ্যায়
রাজনৈতিক অর্থনীতি ও দারিদ্রতা

প্রশ্ন-১; ভারতে দারিদ্রের বিভিন্ন কারন সমূহ বর্ণনা করো। (৫/২০, ১০/২১)
উত্তরঃ

ভারত দারিদ্রের কারন সমূহঃ

        ২০১৩ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী ভারতে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন প্রায় ৩০% মানুষ। International Poverty Line অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। ভারতে দারিদ্রতার মৌলিক কারণগুলোকে নীচে আলোচনা করা হল। 

১) নিরক্ষরতাঃ

নিরক্ষরতা ও দারিদ্রতা বিষয়দুটি প্রায় সমার্থক। কোনো ব্যক্তি নিরক্ষর হলে স্বাভাবিকভাবেই সে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে উপযুক্ত বলে প্রমান করতে পারেনা। ফলে খুব সহজেই নিরক্ষর ব্যক্তিরা দারিদ্রতার শিকার হয়ে পড়ে। নিরক্ষরতার ফলে ব্যক্তি যেমন একদিকে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ পান না ; তেমনি অন্যদিকে নিজ উদ্যোগে অর্থের সংস্থান করতেও বিভিন্ন সমস্যা হয়। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪% ; অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ নিরক্ষর।  

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

২) বেকারত্বঃ

বর্তমানে ভারতে প্রায় ৭.৪% মানুষ বেকারত্বের শিকার। তীব্র বেকারত্বের ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের এবং নিজেদের উপর নির্ভরশীল মানুষদের ন্যুনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন। বর্তমানকালে শিক্ষাগত বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কর্মী সংকোচন , কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস , যথাযথ নীতির অভাব , রাজনৈতিক অসাধুতা - ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বেকারত্বের সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না এবং দারিদ্রতার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 

৩) ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাঃ

বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠক্রম ব্যক্তির সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়ক হলেও কর্মসংস্থান ও বৃত্তিগত ক্ষেত্রে তা কার্যকরী নয়। ফলে উচ্চশিক্ষিত হয়েও বহু মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন না। পেশাদারি ও বৃত্তিগত শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কার্যকরী ও কর্মমুখী পাঠক্রমের অভাব ভারতে দারিদ্রতার একটি অন্যতম কারণ।

৪) মুদ্রাস্ফীতিঃ

মুদ্রাস্ফীতি কথাটির অর্থ হল অর্থের মূল্য কমে যাওয়া। এর ফলে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ক্রয় করতেই মানুষের সমস্যা তৈরী হয়। ফলে নির্দিষ্ট আয়যুক্ত মানুষের ক্ষেত্রে ব্যায়ভার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এর ফলে একদিকে যেমন , সরকারের বাজেট সংকুচিত হচ্ছে ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং অন্যদিকে মানুষ জীবনধরণের জন্য ন্যুনতম সামগ্রী সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এইভাবে মুদ্রাস্ফীতি দারিদ্রতা বৃদ্ধি করছে। 

৫) কৃষিক্ষেত্রের সমস্যাঃ

ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদন্ড হল কৃষি। অতিমাত্রায় কৃষি নির্ভরতা ভারতে দারিদ্রতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আবার কৃষকদেরও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যেমন - বীজ , সার ইত্যাদির মূল্যবৃদ্ধি , কৃষি শিক্ষার অভাব , আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা , মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভরশীলতা - ইত্যাদি কারণে ভারতীয় কৃষি উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন চরম দারিদ্রের শিকার।

৬) প্রাকৃতিক সম্পদের অভাবঃ

ভারতে এমন বহু এলাকা রয়েছে যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ অপ্রতুল এবং ভূমিরূপ ও আবহাওয়া কৃষির পক্ষে উপযুক্ত নয়। এই সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা খুব সহজেই দারিদ্রতার শিকার হয়ে পড়েন। রাজস্থানের বিস্তীর্ণ মরু মৃত্তিকা অঞ্চল , উপকূলীয় বালুকাময় বিস্তীর্ণ অঞ্চল - ইত্যাদি অঞ্চল কৃষি , পশুপালন - এসবের পক্ষে উপযুক্ত নয়। ফলে এই সমস্ত এলাকায় তীব্রভাবে কর্মসংস্থানের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

৭) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ঃ

ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর খামখেয়ালিপনার দরুন কৃষি সহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যাবলী তীব্রভাবে ব্যাহত হয়। বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় -ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপগুলিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। বহু মানুষ এইসকল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যান। ফলে খুব সহজেই তাদের জীবনে দারিদ্রতা নেমে আসে। 

৮) জমির উপর চাপ বৃদ্ধিঃ

ভারতে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ; সেই সঙ্গে বাড়ছে কৃষি জমির উপর চাপ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাথাপিছু জমির পরিমান কমে যায়। বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের মাথাপিছু চাষযোগ্য জমির পরিমান এক একরের থেকেও কম। ফলে মাথাপিছু জমির পরিমান যত কমছে জমি থেকে আয় তত কমছে। জমি থেকে ক্রমাগত আয় কমার ফলে জমির উপর নির্ভরশীল মানুষদের মধ্যে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

৯) মূলধনের অভাবঃ

শিল্পের প্রসারের জন্য প্রয়োজন মূলধন। দেশীয় ও বৈদেশিক শিল্প সংস্থাগুলি সীমিত হারে মূলধন বিনিয়োগ করে। এইসকল শিল্পসংস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা অর্জন। তাই , এই সকল শিল্পসংস্থায় অধিক পরিমানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়না। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার পুঁজি এতটাই কম থাকে যে তাদের পক্ষে নতুন করে বিনিয়োগ সম্ভব হয়না। অনেক দেশীয় শিল্প সংস্থা মূলধনের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেকারত্ব ও দারিদ্রতার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

১০) উৎপাদিত পণ্যের অসম বন্টনঃ

উৎপাদিত শিল্পজাত ও কৃষিজাত পণ্যের অসম বন্টন দারিদ্রতা সৃষ্টি করে। উৎপাদিত পণ্যের অসম বন্টনের জন্য সম্পদ , খাদ্যসামগ্রী - ইত্যাদি সবকিছু এক শ্রেণির মানুষের হস্তগত হয় এবং এক বিরাট অংশের মানুষ সেগুলি থেকে বঞ্চিত থাকে। ফলে সমাজে তীব্র বৈষম্য ও দারিদ্রতা সৃষ্টি হয়। 

এছাড়াও , অনুপ্রবেশ , যুদ্ধ - বিগ্রহ , রাজনৈতিক অস্থিরতা , রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি , জাতিভেদ প্রথা , ধর্মীয় বিশ্বাস , বিচ্ছিন্নতাবাদ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলি ভারতীয় সমাজে দারিদ্রতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

অধ্যায় ভিত্তিক ও পুরনো প্রশ্নভিত্তিক 
নোটস।

প্রথম অধ্যায়

১) জাত বলতে তুমি কী বোঝো? ( ৫/২১, ৫/২২)

২) ভারতে জাত ব্যবস্থার যেকোন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। (৫/২০)

৩) ভারতীয় রাজনীতিতে জাত ব্যবস্থার ভূমিকা আলোচনা করো। (১০/২০, ১০/২২)

দ্বিতীয় অধ্যায়

১) ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার কারণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো। ৫(২০২০), ৫(২০২২)

২) ভারতে মহিলাদের দৈহিক নির্যাতনের বিভিন্ন ধরন আলোচনা করো। ১০(২০২১)

৩) ভারতে নারীর বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। ১০(২০২০) ৫(২০২১) ৫(২০২২)

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

তৃতীয় অধ্যায়

১) ধর্মনিরপেক্ষতা কাকে বলে? ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রকৃতি আলোচনা করো।

২) ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার মূল প্রতিবন্ধকতাগুলি চিহ্নিত কর। (৫/২০)

৩)ভারতে সাম্প্রদায়িকতার মূল কারণগুলি আলোচনা করো। (১০/২০, ১০/২১, ১০/২২)

চতুর্থ অধ্যায়

১) ভারতে দারিদ্রের বিভিন্ন কারন সমূহ বর্ণনা করো। (৫/২০, ১০/২১)

২) ভারতে দারিদ্র দূরিকরনের উদ্দেশ্যে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচীগুলি আলোচনা করো। (১০/২১, ১০/২২)

৩) দারিদ্রতা কাকে বলে? দারিদ্রতা কত প্রকার ও কি কি?

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

পঞ্চম অধ্যায়

১) ভারতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যাক্তিবর্গ এর বিভিন্ন অধিকারগুলি কিভাবে সুরক্ষিত হয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। (৫/২০, ৫/২১)

২) বিশেষভাবে সক্ষম ব্যাক্তিবর্গ বলতে তুমি কি বোঝ। (৫/২১)

ষষ্ঠ অধ্যায়

১) সংরক্ষণমূলক বৈষম্য বলতে কি বোঝায়? (৫/২০, ৫/২১)

২) অনগ্রসরতা বলতে তুমি কি বোঝ? (৫/২০, ৫/২১)

৩) ভারতীয় সংবিধানে তপসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা সমূহ সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। (১০/২০, ১০/২১, ১০/২২)

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

 সপ্তম অধ্যায়

১) দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। (৫/২১)

২) ভারতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি আলোচনা করো। (১০/২১)


স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

Main Menu


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code