নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার কারণ

Ad Code

নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার কারণ

 

The University of Burdwan

B.A. 6th Semester

Political Science (Honours)

CC-14; Contemporary issues in India

দ্বিতীয় অধ্যায়
নারীর প্রতি বৈষম্য ও হিংসা

 

১) ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার কারণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো। (৫/২০, ৫/২২)
উত্তরঃ

ভূমিকাঃ

সাধারণ অর্থে নারীর বিরুদ্ধে হিংস্রতামূলক আচরণ বলতে, নারীর উপর দৈহিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক যে কোনো ধরণের নিযার্তন বা নিপীড়নকে বোঝায়। কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে কোন ধরণের কাজ করতে বাধ্য করা, তার অধিকার খর্ব বা হরণ করা, ইত্যাদি নারীর বিরুদ্ধে হিংস্রতামূলক আচরণের অন্তর্গত। নারীর প্রতি এই সহিংসতার বিভিন্ন কারন উল্লেখ করা যায়। যেমন-

১) সামাজিক কারনঃ

        নারীর প্রতি হিংসার মূল কারন হিসাবে সামাজিক কারনের কথা উল্লেখ করা যায়। প্রায় প্রতিটি সমাজে নারীদের অধস্তন অবস্থায় রাখা হয়।  নারীর পোশাক, অলংকার, চেহারা, গায়ের রঙ ইত্যাদি সামাজিক চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারন করা হয়। ঠিক করে দেওয়া হয় নারী কাজ কোন কাজ করবে এবং কোন কাজ করবেনা। ভারতে অধিকাংশ নারীকে গৃহস্থলীর কাজের মধ্যেই আটকে রাখা হয়। তাকে রান্না করা, সন্তান প্রতিপালনে মুখ্য ভূমিকা পালন করা, প্রভূতি কাজের মধ্যে আটকে রাখা হয়। এছাড়া নারীকে বিভিন্ন সামাজিক প্রথা বা রীতিনীতি পালন করে চলতে। আর এসব পালনে বিন্ধুমাত্র ত্রুটি হলে হিংসার ঘটনা ঘটে।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

২) রাজনৈতিক কারনঃ

        রাষ্ট্র সংক্রান্ত বা রাজনৈতিক কাজকর্ম থেকে নারীজাতিকে সবসময় দূরে সরিয়ে রাখা হয়। মনে করা হয় রাজনৈতিক ক্ষেত্র হল পুরুষদের আধিপত্যের জায়গা। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব, সংগঠন প্রভূতি ক্ষেত্রে নারীজাতি অনেক পিছিয়ে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই দুরাবস্তার সুযোগে নারীজাতীর ওপর সহজেই বিভিন্ন হিংসার ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সবরকম রাজনৈতিক সুযোগসুবিধা থেকে নারীদের বঞ্চিত রাখা হয়।

৩) অর্থনৈতিক কারনঃ

        অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীকে নানাভাবে অবদমিত রাখা হয়। নারীরা সংসারে নানাবিধ কাজ করে যার কোন আর্থিক মূল্য দেওয়া হয়না। গৃহস্থলীর বাইরে কাজের তেমন কোনো কাজের সুযোগ না থাকায়  তাঁদের কোনো অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা নেই। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতন পান। এসবের সামগ্রীক ফলশ্রুতিতে নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যের প্রতি  নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। এই নির্ভরশীলতা  নির্যাতনের পথকেই সুগম করে তোলে।

৪) ধর্মীয় কারনঃ

        বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন রীতি ও আচার অনুষ্ঠানের দ্বারা নারীদের অবদমিত করে রাখা হয়। প্রাচীন ভারতের সতীদাও প্রথা নারীজাতীকে এক দুর্বিসাহ অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। বর্তমানে পর্দা প্রথা, ঘোমটা প্রথা, বিভিন্ন ব্রত প্রথা, ধর্মীয় রীতি বা অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ প্রভূতি নারীজাতীকে অবদমিত অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয় এবং এইসব ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে অনীহা প্রকাশ করলে তাঁদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটে।

৫) সাংস্কৃতিক কারনঃ

         সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবক্ষয় এবং বিকৃত সাংস্কৃতিক মনস্কতা নারীজাতিকে অবক্ষয়ের মধ্যে ঠেলে দেয়। পশ্চিমের বিকৃত ভোগবাদী সাংস্কৃতির প্রভাবে জাতীজাতীকে আজ ভোগ্যপণ্যে পরিনত করা হয়েছে। নারীর খোলামেলা শরীর দেখিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেমন দর্শক সমাগম করা হচ্ছে তেমনি এই খোলামেলা শরীরকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞপনী প্রচার চালানো হচ্ছে। এই বিকৃত সংস্কৃতি নারীজাতীতে ভোগ্যপণ্য তথা যৌন লালসার উপাদানে পরিণত করেছে।

৬) শারীরিক কারনঃ

        শারীরিক গঠনগত কারণে নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। এই দুর্বলতার সুযোগে তাঁদের জন্য আলাদা কাজ বা আলাদা ব্যবস্থার সংস্থান রাখা হয় যা শেষ পর্যন্ত নারীজাতীর অবদমিত অবস্থা বা হিংসার কারন হয়ে দাঁড়ায়।  

৭) আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবঃ

        নারীজাতীর বিরুদ্ধে সংঘটিত যাবতীয় হিংসা বন্ধের জন্য বিভিন্ন কঠোর আইননানুগ ব্যবস্থা গৃহীত হলেও প্রায়ই তাঁর সঠিক প্রয়োগ হচ্ছেনা। শুধু তাই নয় কখনো কখনো নারীর বিরুদ্ধে সংঘঠিত হিংসার জন্য নারীকেই দায়ী করা হচ্ছে। ধর্ষণের মত কুখ্যাত অপরাধের জন্য নারীর পোষক এবং তাঁর অবাধ বিচরণকে দায়ি করা হয়। কোন হিংসার ঘটনা আদালত অবধি এলেও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসুত্রিতার বাধনে তা ফেঁসে যায়।

৮) সামাজিক অবক্ষয়ঃ

        সামাজিক অবক্ষয়কে নারীজাতীর প্রতি সংঘঠিত হিংসার একটি অন্যতম কারন বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যদিও এইসব অবক্ষয়ের জন্য শিক্ষার অভাব, বেকারত্ব, দারিদ্রতা প্রভূতি দায়ী তবু এসবের সামগ্রীক ফলাফল নারীজাতীকে ভোগ করতে হয়। দারিদ্রক্লিষ্ট পরিবারে নারীকেই অভুক্ত থাকতে হয় কিংবা সমস্ত প্রকার পারিবারিক অশান্তির জন্য নারীকেই দায়ী করা হয়। ফলে সহজেই তাঁদের পারিবারিক হিংসার সম্মুখীন হতে হয়।

৯) মাদকের যথেচ্চ ব্যবহারঃ

        মাদকের যথেচ্চ ব্যবহার পুরুষ জাতীর মধ্যে বেশি দেখা গেলেও তাঁর ফল ভোগ করতে হয় নারীজাতীকে। মাদকের এই যথেচ্চ ব্যবহারের ফলে একটি পরিবারে নারী-পুরুষের সম্পর্কে যেমন ব্যবধান বাড়ছে,  তেমনি একটা সময় পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আমাদের দেশে মাদকাসক্ত অবস্থায় নারীজাতীর প্রতি হিংসার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, যার মূল কারন হল আরো বেশি করে মধ্যপানের জন্য টাকার দাবী।

১০) বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক স্থাপনঃ

        বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া বলতে অন্যের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত প্রেম-প্রণয়কে বোঝায়, যা শেষ পর্যান্ত যৌন সঙ্গমে পরিণতি লাভ করে। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ‘অনৈতিক’ হলেও বর্তমানে ভারতের প্রচলিত আইনে বৈধতা লাভ করেছে। পুরুষ কিংবা নারী উভয়ে এই নৈতিক অবক্ষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও তাঁর ফল ভোগ করতে হয় নারীকেই। এই  বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নারী হত্যার ঘটনা প্রায়শই  ঘটে থাকে।

অধ্যায় ভিত্তিক ও পুরনো প্রশ্নভিত্তিক 
নোটস।

প্রথম অধ্যায়

১) জাত বলতে তুমি কী বোঝো? ( ৫/২১, ৫/২২)

২) ভারতে জাত ব্যবস্থার যেকোন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। (৫/২০)

৩) ভারতীয় রাজনীতিতে জাত ব্যবস্থার ভূমিকা আলোচনা করো। (১০/২০, ১০/২২)

দ্বিতীয় অধ্যায়

১) ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার কারণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো। ৫(২০২০), ৫(২০২২)

২) ভারতে মহিলাদের দৈহিক নির্যাতনের বিভিন্ন ধরন আলোচনা করো। ১০(২০২১)

৩) ভারতে নারীর বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। ১০(২০২০) ৫(২০২১) ৫(২০২২)

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

তৃতীয় অধ্যায়

১) ধর্মনিরপেক্ষতা কাকে বলে? ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রকৃতি আলোচনা করো।

২) ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার মূল প্রতিবন্ধকতাগুলি চিহ্নিত কর। (৫/২০)

৩)ভারতে সাম্প্রদায়িকতার মূল কারণগুলি আলোচনা করো। (১০/২০, ১০/২১, ১০/২২)

চতুর্থ অধ্যায়

১) ভারতে দারিদ্রের বিভিন্ন কারন সমূহ বর্ণনা করো। (৫/২০, ১০/২১)

২) ভারতে দারিদ্র দূরিকরনের উদ্দেশ্যে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচীগুলি আলোচনা করো। (১০/২১, ১০/২২)

৩) দারিদ্রতা কাকে বলে? দারিদ্রতা কত প্রকার ও কি কি?

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

পঞ্চম অধ্যায়

১) ভারতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যাক্তিবর্গ এর বিভিন্ন অধিকারগুলি কিভাবে সুরক্ষিত হয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো। (৫/২০, ৫/২১)

২) বিশেষভাবে সক্ষম ব্যাক্তিবর্গ বলতে তুমি কি বোঝ। (৫/২১)

ষষ্ঠ অধ্যায়

১) সংরক্ষণমূলক বৈষম্য বলতে কি বোঝায়? (৫/২০, ৫/২১)

২) অনগ্রসরতা বলতে তুমি কি বোঝ? (৫/২০, ৫/২১)

৩) ভারতীয় সংবিধানে তপসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা সমূহ সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। (১০/২০, ১০/২১, ১০/২২)

স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

 সপ্তম অধ্যায়

১) দুর্যোগ ঝুকি হ্রাস সম্পর্কে একটি টিকা লেখ। (৫/২১)

২) ভারতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি আলোচনা করো। (১০/২১)


স্বল্প মূল্যে এইসমস্ত নোটস পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

Main Menu


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code