সার্ক, সার্কের গঠন, উদ্দশ্য বা কার্যাবলী এবং সমালোচনা;

Ad Code

সার্ক, সার্কের গঠন, উদ্দশ্য বা কার্যাবলী এবং সমালোচনা;

 

The University of Burdwan

B.A.  4th Semester

Political Science (Honours)

CC-10; International Organizations


দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা


ভূমিকাঃ

সার্ক বা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির একটি আঞ্চলিক সংগঠন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদানের বহর কোনোদিনই প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌছাতে পারেনি। আন্তঃরাষ্ট্র সমস্যা ও বিরোধের কারনে এই দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক কখনই খুব একটা ভালো থাকেনি। এইরকম এক পরিস্থিতিতে ৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় দক্ষিন-এশিয়ার ৭টি দেশ নিজেদের মধ্যে বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক নামক একটি আঞ্চলিক সংস্থ্যা গঠন করে।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়


গঠন ও সদস্যরাষ্ট্রঃ

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গড়ে তোলার প্রথম উদ্যোগ নেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে একটি আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেন এবং নিজে সক্রিয় উদ্যোগ নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীগণ- কলম্বো (১৯৮১ খ্রি.), কাঠমান্ডু (১৯৮১ খ্রি.), ইসলামাবাদ (১৯৮২ খ্রি.), ঢাকা (১৯৮৩ খ্রি.), দিল্লি (১৯৮৩) প্রভৃতি স্থানে একাধিক সম্মেলনে মিলিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে ভূটানের রাজধানী থিম্পু সম্মেলনে সমবেত হয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর  ঢাকায় সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মলনে ঢাকা ঘোষণাপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে সার্কের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

১৯৮৭ সালে সার্কের সদর দফতর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে স্থাপিত হয়। সার্কের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল—

১) ভারত,

২) বাংলাদেশ,

৩) পাকিস্তান,

৪) শ্রীলঙ্কা,

৫) নেপাল,

৬) ভুটান,

৭) মালদ্বীপ,

৮) আফগানিস্তান।

          সার্ক সনদের ৪ থেকে ৮ নং ধারায় সার্কের সাংগঠনিক কাঠামোর বিস্তারিত আলোচনা আছে। সার্ক মূলত একটি মন্ত্রীসভা, একটি স্থায়ী কমিটি, একাধিক টেকনিক্যাল কমিটি, একাধিক অ্যাকশন কমিটি এবং একটি সচিবালয় নিয়ে গঠিত হয়। এছাড়া সার্ক হল একটি ত্রি-স্তরীয় সংগঠন, যার শীর্ষে আছে রাষ্ট্রনায়কদের শীর্ষ সম্মেলন, মাঝখানে আছে বিদেশমন্ত্রীদের পরিষদ এবং সংগঠনের নিয়মিত কাজকর্ম সম্পাদনের জন্য রয়েছে একটি সচিবালয়।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী;

          ১৯৮৫ সালে ঢাকায় সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সার্কের সনদ গৃহীত হয় এই সদনের ১ নং ধারায় সার্কের ৮টি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়। এগুলি হল-

১) জনগণের জীবনযাত্রার উৎকর্ষ সাধন;

সার্কভুক্ত দেশগুলির অধিকাংশ রাষ্ট্রের মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে । তাই সার্ক প্রথমেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জনগণের কল্যাণসাধন এবং তাদের জীবনযাত্রার মানন্নোয়নের ওপর জোড় দেয়।

২) পারস্পারিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ;

সার্কভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগীতার ওপর জোড় দেয়। পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপরার মনোভব গড়ে তুলে অভ্যন্তরীণ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সচেষ্ঠ হয়।

৩) তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন;

সার্কভুক্ত দেশগুলি নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদানের ওপর যেমন গুরুত্ব দেয় তেমনি, সদস্যদেশগুলির জনগণের মধ্যে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার ওপরও জোড় দেয়।

৪) যৌথ স্বনির্ভরতা;

সার্ক দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে যৌথ স্বনির্ভরতার প্রসার ঘটানো ও একে জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।

৫) সামগ্রিক উন্নয়ন;

সার্কভুক্ত দেশগুলি অর্থনৈতিক বিকাশ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি এবং সেইসাথে সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রতিটি নাগরিক যাতে মর্যদার সাথে জীবনযাপন  ও আত্মবিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করে অর্থাৎ সার্ক সামগ্রিক উন্নয়নের ওপর জোড় দেয়। 

৬) শান্তিপূর্ণ্য সহবস্থান;

সার্কভুক্ত দেশগুলি শান্তিপুর্ন্য সহবস্থানের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা ও স্বীকার করে এবং অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে।

৭) সদস্যরাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা বিধান;

সার্ক সদস্যরাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা বিধানের সাথে সাথে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।

৮) আন্তর্জাতিক সহযোগিতা;

          সার্ক অন্যান্য (সার্কভুক্ত দেশ নয় এমন) বিকাশশীল দেশের সাথেও সহযোগিতার ওপরও জোড় দেয়। সমজাতীয় স্বার্থ বা একই প্রকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যবিশিষ্ট্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের সাথে সদ্ভাব ও সহযোগিতা বজায় রাখে।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

সার্ক এর সাফল্য বা গুরুত্বঃ

          বর্তমানে পৃথিবিতে যতগুলো আঞ্চলিক সংগঠন আছে তার মধ্যে সার্ক হল সবচেয়ে ছোট এবং এর কার্যকালের মেয়াদও সবথেকে কম। এসব সত্ত্বেও সার্ক খুব কম সময়ে দক্ষিন এশিয়ার রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সার্কের সবথেকে বড় সাফল্য হল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন। যেমন- শিশুদের কল্যান সাধন বিষয়ে ১৯৯৩ সালে সার্ক ইউনিসেফ সহযোগিতা চুক্তি। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধ, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার, মহিলাদের উন্নয়ন প্রভূতি বিষয়ে ১৯৯৫ সালে সার্ক ও UNDP সমঝোতা চুক্তি। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে ১৯৯৪ সালে সার্ক ও ATP মধ্যে চুক্তি প্রভূতির কথা বলা যায়।

আন্তর্জাতিক চুক্তি ছাড়াও সার্কভুক্ত দেশগুলি নিজেদের মধ্যে বিতর্কিত এমন বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন করে পারস্পরিক বিরোধের অবসান ঘটিয়েছে। উদাহরণ হিসাবে- ভারত- বাংলাদেশ কিংবা ভারত নেপালের মধ্যে নদীর জল বন্টন চুক্তির কথা বলা যায়।

এইসব চুক্তি সম্পাদন ছাড়াও সার্ক যেসব নীতি আদর্শ বা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সেগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। জনগণের জীবনযাত্রার মানন্নোয়ন, পারস্পরিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ, তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দক্ষিন এশিয়ায় শান্তি স্থাপন প্রভূতি ক্ষেত্রে সার্ক সাফল্য অর্জন করেছে।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

সমালোচনাঃ

          উপরিউক্ত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্কের ব্যার্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নীচে সার্কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ্য দুর্বলতা উল্লেখ করা হল। যেমন-

১) সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক রিরোধঃ

          সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ এখনো বর্তমান। অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতা এখনো বর্তমান। শুধু পাকিস্তান নয়, তিস্তার জলবন্টন এবং সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা প্রভূতি বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সাথে, মহাকালী নদীর জলবন্টন , কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধাউরা প্রভুতি স্থান নিয়ে নেপালের সাথে, জাতি সত্ত্বা গত বিষয়কে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কার সাথে ভারতের বিরোধ বর্তমান। তবে শুধু ভারতের সাথে অন্যান্য রাষ্ট্রের বিরোধ হচ্ছে এমনটা নয়। অন্যন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও মধ্যেও পারস্পরিক বিরোধ বর্তমান।

২) অর্থনৈতিক বৈষম্যঃ

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য যথেষ্ট প্রকট। সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে পশ্চাদপদ দেশগুলির আশঙ্কা থাকে, তারা সার্ক স্বাক্ষরিত বিভিন্ন সহযোগিতা পরিকল্পনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়বে। ভারতের যে-কোনো অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিকল্পনাকে তারা সন্দেহের চোখে দেখে এবং এটাকে ভারতের আগ্রাসন মূলক নীতি বলে মনে করে।

৩) দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যর্থতাঃ

মূলত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলি নিয়ে সার্ক গঠিত হয়। তাই জন্মলগ্ন থেকেই সার্ক দারিদ্র্য দূরীকরণের উপর জোড় দিয়ে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সার্ক আজো এ ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ্য কোন সাফল্য দেখাতে পারেনি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর 40% এর বেশী মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বস্তুতঃ দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ে সার্ক তেমন কোন ইতিবাচক পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারেনি।

৪) ভারত ভীতিঃ

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত সবথেকে উন্নত ও প্রভাবশালী। ফলে সার্কের সমস্ত কর্মকান্ডের উপর ভারতের যথেষ্ট প্রভাব বর্তমান। সার্কের কর্মকান্ডের উপর ভারতের এই প্রভাব বিস্তারকে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো সন্দেহের চোখে দেখে। তাদের আশঙ্কা ভারত এই সংগঠনটিকে নিজের অধিপত্য বিস্তারের কাজে ব্যবহার করতে পারে। মূলত এই প্রভাব-প্রতিপত্তিকে খর্ব করার জন্য কোন কোন সদস্যরাষ্ট্র বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে হাত মেলায় যা সার্কের সাফল্যের পথে অন্যতম অন্তরায়।  

৫) আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপঃ

সার্কভুক্ত দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ সার্ক এর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি নষ্ট করে চলেছে এবং সার্কের সাফল্যের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নয়া উপনিবেশবাদী অনেক রাষ্ট্র সার্কভুক্ত দেশগুলোর অনেক দেশকে প্রচুর অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অশান্তির পরিবেশ অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অন্যতম। মূলত চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ব্যবহার করে যেভাবে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে যাচ্ছে তা সার্কের জন্য যথেষ্ঠ বিপদজনক।  এছাড়া সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির সার্কের পরিবর্তে বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা সার্কের গুরুত্বকে অনেকটাই হ্রাস করে দিয়েছে।


মূল্যায়নঃ

পরিশেষে বলা যায়, যে-কোন রাষ্ট্রীয় সংগঠনের সাফল্যের অন্যতম শর্ত হলো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিশ্বাসের পরিবেশকে সুদৃঢ় করা এবং নিজেদের মধ্যকার বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা। এ-দিক থেকে সার্ক যথেষ্ট ব্যর্থ। তাই ভবিষ্যতে সার্ককে সাফল্যমন্ডিত সংস্থ্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এই বিষয়গুলোকে পরিহার করতে হবে। 




Main Menu



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code