The University of Burdwan
B.A. 4th Semester
Political Science (Honours)
CC-10; International Organizations
আসিয়ান; গঠন ও সদস্যরাষ্ট্র, লক্ষ্য ও কার্যাবলী, গুরুত্ব, সমালোচনা
ভূমিকা;
আসিয়ান বা অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি অ-সামরিক আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন। আসিয়ানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাম্বিত করা।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
গঠন ও সদস্যরাষ্ট্র;
১৯৬৭ সালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ নিয়ে আসিয়ান গঠিত হয়। এই পাঁচটি দেশ হল- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। পরবর্তীকালে আরো পাঁচটি দেশ এই সংগঠনটির সদস্যপদ গ্রহণ করে। এই দেশগুলি হল- ব্রনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম। অর্থাৎ বর্তমানে আসিয়ানের মোট সদস্য সংখ্যা ১০। আশিয়ানের সদর দপ্তর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্থিত।
লক্ষ্য ও কার্যাবলী;
আশিয়ানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরাম্বিত করা সেই সাথে দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ব্যাংকক ঘোষণায় আসিয়ানের লক্ষ্য ও
কর্মসূচীর উল্লেখ করা হয়। এদিক থেকে আসিয়ানের নিম্নলিখিত কার্যাবলীর কথা উল্লেখ
করা যায়-
১) পারস্পরিক
সহযোগীতা;
আসিয়ানের মূল লক্ষ্য হল দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বা আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও তার সম্প্রসারণ।
আসিয়ান মনে করে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগীতা অর্জন করার তিনটি মাধ্যম
আছে। এগুলি হল- নিরাপত্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সংহতি সাধন।
এছাড়া সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে
বানিজ্যগত প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য আসিয়ান ১৯৯২ সালে আফটা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে
আসিয়ান আন্তঃদেশীয় শুল্ক হ্রাস করে এবং মুক্ত বাণিজ্য এলাকা তৈরি করে। এছাড়া
বিদেশী বিনিয়োগের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস করার কথাও ভাবা হয়।
২) অর্থনৈতিক উন্নয়ন;
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আসিয়ান
সদস্যরাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট কাজ করে গেছে। গত কয়েক দশকে
আসিয়ান এমন কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে যা সদস্যরাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক
ভিত্তিকে মজবুদ করেছে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ্য চুক্তির কথা
উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন- অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি, আসিয়ান শিল্প
সহযোগিতামূলক চুক্তি, আসিয়ান যৌথ শিল্প উদ্যোগ প্রভূতি।
এছাড়া পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা
সম্প্রসারণের জন্য আসিয়ান- বৈদেশিক মুদ্রাভান্ডার গঠন, বর্হিবিশ্বের বাজার দখল, খাদ্যশস্য
উৎপাদন ও বিপণনে সুবিধা বৃদ্ধি প্রভূতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
৩) সদস্যরাষ্ট্রগুলির
নিরাপত্তা;
প্রকৃতিগত দিক থেকে আসিয়ান নিরাপত্তা সংক্রান্ত
সংগঠন না হলেও সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তার ব্যাপারে আসিয়ান সচেষ্ঠ হয়েছে। দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়াতে যাতে বিদেশী শক্তির আক্রমন বা অভ্যন্তরীন হস্থ্যক্ষেপ না ঘটে তার জন্য আসিয়ান
এই অঞ্চলকে শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। সেইসাথে অঞ্চলটিকে
পরমানু অস্ত্রমুক্ত রাখার প্রস্থাবও গ্রহীত হয়েছে। এছাড়া উক্ত অঞ্চলে নিরাপত্তার
বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করার জন্য আসিয়ান ১৯৯৩ সালে এশিয়ার আঞ্চলিক মঞ্চ(ARF)
নামে একটি সংগঠন তৈরি করে।
৪) পরিবেশ রক্ষা;
একবিংশ শতাব্দি থেকে আসিয়ান পরিবেশ দূষন
রোধ করে পরিবেশ রক্ষা বা সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেষ্ঠ হয়। এজন্য আসিয়ান অনেক আন্তর্জাতিক
আলোচনাচক্র এবং চুক্তি সম্পাদন করেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ্য চুক্তিগুলি হল- ASEAN
Agreement on Transboundary Haze Pollution, ASEAN Wildlife Enforcement Network,
Asia Pacafic Partnership on clean development and climate, প্রভূতি।
৫) আসিয়ান সনদ;
২০০৮ সালে আসিয়ান ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় মিলিত হয়ে একটি সনদ গ্রহণ করে। এই সনদে আসিয়ান সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পারস্পরিক সহযোগিতা প্রভুতি সংক্রান্ত অসংখ্য নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই সনদের ফলে আসিয়ান একটি আইনগত সংস্থ্যায় পরিণত হয় এবং আসিয়ানের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি সুস্পষ্ট রূপ লাভ করে।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
গুরুত্ব;
আসিয়ান দেশগুলির মিলিত ভূখন্ড হল প্রায় ৪৪.৬ লক্ষ বর্গকিমি যা পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৩ শতাংশ এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪.৪ শতাংশ। আসিয়ানের সমুদ্রসীমা তার ভুখন্ডগত আয়তনের প্রায় তিনগুল। ফলে ভুখন্ডগত দিক থেকে আসিয়ানের তেমন গুরুত্ব না থাকলেও সমুদ্রসীমার দিক থেকে আসিয়ান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ্য।
অর্থনৈতিক দিক থেকে আসিয়ান যথেষ্ঠ সাফল্য
লাভ করেছে। আসিয়ানের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত
দেশের মর্যদা পেয়েছে। আসিয়ানের কল্যানে সদস্যরাষ্ট্রগুলির বানিজ্য বিপুল পরিমানে বৃদ্ধি
পেয়েছে। আসিয়ান অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সহযোগিতার সাথে সাথে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দারিদ্র,
মহামারী, বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি প্রভূতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়াকে বৈদেশিক শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সমালোচনা;
আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়েক দশকের মধ্যে
গুরুত্বপূর্ণ্য সাফল্য লাভ করলেও এর কিছু দুর্বলতা থেকে গেছে। যেমন-
১) সদস্যরাষ্ট্রগুলির
মধ্যে মতঐক্যের অভাব;
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ব্যাপক
মতপার্থক্য বর্তমান। এই মতপার্থক্যের কারনে আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ৭ থেকে ৮ বছর
পর্যন্ত সংগঠনের কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। বাণিজ্যগত প্রতিবন্ধকতা
দূরিকরণ বা মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার, বিদেশি লগ্নি, মায়ানমারের সামরিক শাসন প্রভুতি
নিয়ে আসিয়ান এখনো দ্বিধাবিভক্ত।
২) সদস্যরাষ্ট্রগুলির
মধ্যে নিরাপত্তার অভাব;
আসিয়ান সদস্যরাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অস্ত্রপ্রতিযোগিতা দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়ার নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে। ফলে সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে অস্থিরতা
বিরাজ করছে। আসিয়ান দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলকে শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার
অঞ্চল বলে ঘোষণা করলেও বাস্তবে তা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি।
৩) অর্থনৈতিক বৈষম্য;
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈষম্য যথেষ্ঠ
প্রকট। একদিকে যেমন সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ রয়েছে তেমনি
রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের মত অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত দেশ। ফলে আসিয়ানভুক্ত
দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সহাবস্থান একপ্রকার অসম্ভব।
৪) আন্তর্জাতিক
প্রভাব;
আসিয়ান দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াকে আন্তর্জাতিক
প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার কথা বললেও বাস্তবে তা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে দক্ষিন-পূর্ব
এশিয়ায় চীন ও আমেরিকার ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধি ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়টিকে
যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তেমনি আসিয়ানের গুরুত্বও হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মার্কিন
প্রভাবিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় গোষ্ঠী আসিয়ানকে প্রবল প্রতিদন্ধিতায় ফেলে দিয়েছে।
৫) অগণতান্ত্রিক
মনভব;
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিকতার অভিযোগ বার বার উঠে আসে। অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র মায়ানমারের সামরিক শাসন সম্পর্কে আসিয়ান তেমন কোনো মনভব পোষণ করেনা। মায়ানমারে বার বার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন প্রভুতি ব্যাপারে আসিয়ান নীরব থেকেছে। উল্টে এইসব কারনে আন্তর্জাতিক মহল মায়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে আসিয়ান তার বিরোধীতা করেছে।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
মূল্যায়ন;
উপরিউক্ত সমালোচনা থাকলেও আন্তর্জাতিক
রাজনীতিতে আসিয়ানের গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। মূলত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আসিয়ানের সাফল্য
যথেষ্ঠ উৎসাহ ব্যাঞ্জক। আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রথম এক দশকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ্য সাফল্য লাভ করতে না পারলেও পরবর্তীতে এর কর্মতৎপরতা যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আসিয়ানের বিভিন্ন কর্মকান্ড আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছ। এর মধ্যে
দক্ষিন-পুর্ব এশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত এলাকা হিসাবে ঘোষণা ছিল অন্যতম। মুলত
আসিয়ানের উদ্যোগে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটে।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
0 মন্তব্যসমূহ