The University of Burdwan
B.A. 4th Semester
Political Science (Honours)
CC-10; International Organizations
আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ
ভূমিকা;
ARF
বা
আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ হল একটি নিরাপত্তা সহযোগিতা সংগঠন । মূলত আসিয়ানভুক্ত দেশগুলি
ছাড়াও এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলি এই সংগঠনের সাথে যুক্ত। এর মূল উদ্দেশ্য হল আসিয়ানের
সদস্যরাষ্ট্রগুলির মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত সিন্ধান্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলি এই মঞ্চের মাধ্যমে নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে
আলোচনা করবে।
গঠন ও সদস্যরাষ্ট্র;
আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ গঠিত হয় ১৯৯৪ সালে । বর্তমানে এর মোট সদস্যরাষ্ট্র হল ২৭। যার মধ্যে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ছাড়াও আছে আসিয়ানের ১০ টি ডায়ালগ পার্টানার এবং ৭টি অন্যান্য দেশ।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
লক্ষ্য ও কার্যপ্রনালী;
আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চের মূল লক্ষ্য হল আসিয়ানের
সদস্যরাষ্ট্রগুলির মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত সিন্ধান্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট
দেশগুলি এই মঞ্চের মাধ্যমে নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে
আলোচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী তাদের কর্মসূচী প্রণয়ন করবে। ARF
এর প্রতিটি মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে বিগত বছরের কার্যকলাপ
পর্যালোচনা করা হয় এবং সামনের বছরের জন্য কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়।
১৯৯৫
সালে ARF স্থির করে নিজেদের দেশের নিরাপত্তা
সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে তারা গতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার বিবেচনা করবে এবং তিনটি
পর্যায়ে তাদের কাজকর্ম সম্পাদন করা হবে। এই তিনটি পর্যায় হল-
আস্থা-বর্ধক পদক্ষেপ, রক্ষণাত্মক কূটনীতি এবং বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে
দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার।
২০০৯ সালে থাইল্যান্ডের ফুকেট এ অনুষ্ঠিত
মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী সংক্রান্ত
নথি প্রস্তুত করা হয়। এই নথিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর জোড় দেওয়া হয়।
২০১০ সালে হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে
সংগঠনের উদ্দেশ্যগুলি পূরন করার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিপর্যয়
মোকাবিলা, উপকূলবর্তী নিরাপত্তা, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা
প্রভূতিকে কার্যকর করার জন্য বাস্তবসম্মত কর্মসূচী প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া নতুন
পরিস্থিতিতে আসিয়ানের নেওয়া সিন্ধান্তগুলির প্রাসঙ্গিকতা আছে কিনা তা যাচাই করার
জন্য ২০১১ সালে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। এই টাক্স ফোর্স ৭২ টির
মত বিষয়ে সুপারিশ করে, যার মধ্যে কতগুলিকে তাৎক্ষনিক এবং কতগুলিকে সময়মত প্রয়োজন
অনুযায়ী কার্যকর করার কথা বলা হয়।
২০২১ সালে ARF এর ২৮তম মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ব্রনুই এর দারউসসালামে। এই বৈঠকে সদস্যদেশগুলি ARF এর ভবিষ্যৎ দিশা বা কর্মপরিকল্পনা সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডঃ রাজকুমার রঞ্জন সিং প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের হুমকি, সাইবার অপরাধ প্রভূতি বিষয় উপস্থাপন করেন।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
গুরুত্ব;
আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ একটি
আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংগঠন হলেও তিন দিক থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এটি
গুরুত্বপূর্ণ্য হয়ে উঠছে-
১) বড় সংগঠন;
ARF পুরো
এশিয়ামহাদেশে সবথেকে বড় আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংগঠন। এর বর্তমান
সদস্যসংখ্যা ২৭। যার মধ্যে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ছাড়াও আছে
আসিয়ানের ১০টি ডায়ালগ পার্টানার এবং ৭টি অন্যান্য দেশ। এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বড়
নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংগঠন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
২) পরস্পরবিরোধী রাষ্ট্রের অবস্থান;
ARF
এর সবথেকে বড় সাফল্য হল এশিয়া মহাদেশের পরস্পরবিরোধী অনেক রাষ্ট্রকে এই সংগঠনের
মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছে। এইসব পরস্পর বিরোধী রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদন্ধিতা
এশিয়া মহাদেশে প্রায়শই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করতো। এই সদস্যরাষ্ট্রগুলো এক
ছাতার তলায় আসার ফলে তারা নিজেদের সমস্যাগুলো সহজে সমাধান করতে পাচ্ছে।
৩) কৌশলগত অবস্থান;
এশিয়া মহাদেশের প্রভাবশালী দেশগুলো এই
সংগঠনের যুক্ত থাকায় ARF
কৌশলগত দিক থেকে অনেকটাই সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। বিভিন্ন মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে
ARF যেসব নীতি বা কর্মসূচী
গ্রহণ করে সেগুলো কার্যকারী করে তোলার জন্য এইসব প্রভাবশালী দেশ গুরুত্বপূর্ণ্য
ভূমিকা পালন করে।
ভারত ও ARF;
১৯৯৬ সালে ভারত ARF
এর ডায়লগ পার্টনার হিসাবে এই সংগঠনে যোগদান করে এবং তখন থেকেই ভারত ARF
এর যাবতীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ARF
এর সক্রিয় সদস্য হিসাবে ভারত এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সুস্থিতি এবং
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর ব্যাপারে যথেষ্ঠ আগ্রহী। মূলত ভারত তার পূর্ব এশিয়া
সংক্রান্ত নীতিকে কার্যকর করতেই ARF
এর সাথে যুক্ত হয়। ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত
ক্ষেত্রে ভারত যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
ARF এর প্রায় প্রতিটি মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে ভারত সক্রীয়ভাবে অংশ নেয় এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত দুটি আন্তঃঅধিবেশন সভায় ভারত সহ-সভাপতির ভূমিকা পালন করে। এই অধিবেশনে ARF বিভিন্ন আস্থাবর্ধক উপায় এবং রক্ষানাত্মক কূটনীতি বিষয়ে আলোচনা করে ও তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ARF এ যোগদানকারী সদস্যদের এই কাজে উপযুক্ত করে তোলার জন্য ভারত একাধিক সেমিনার বা আলোচনা চক্র, কর্মশালা ও প্রশিক্ষন কর্মসূচীর ব্যবস্থা করে। ২০২১ সালে ARF এর ২৮তম মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে ভারত অংশ নেয়। এই বৈঠকে, ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডঃ রাজকুমার রঞ্জন সিং প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের হুমকি, সাইবার অপরাধ প্রভূতি বিষয় উপস্থাপন করেন।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
0 মন্তব্যসমূহ