ওপেক, OPEC

Ad Code

ওপেক, OPEC

The University of Burdwan

B.A.  4th Semester

Political Science (Honours)

CC-10; International Organizations


ওপেক. OPEC, ওপেক এর সদস্যওপেক এর উদ্দেশ্য, ওপেক এর সদর দপ্তর.opec countries

পেট্রোপণ্য রপ্তানিকারক দেশসমূহের সংগঠন বা ওপেক(OPEC)

ভূমিকা;  

ওপেক বা Organisation of Petroleum Exporting Countries হল পেট্রলিয়াম বা তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর এমন এক সংগঠন যা প্রায় বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ তেল সম্পদের আধার। এর মূল লক্ষ্য হল তেল উত্তোলন, পরিশোধন, বিপনন, মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদি ব্যাপারে সাধারণ নীতি অনুসরণ করা যাতে প্রত্যেক সদস্যরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।

গঠন ও সদস্য রাষ্ট্র;

ওপেক হল ১৩ সদস্যরাষ্ট্রের এক আন্তর্জাতিক সংগঠন যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে। বর্তমানে এর সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থিত। প্রথম দিকে পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে ওপেক গঠিত হয়, যথা- ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, কুয়েত, ভেনেজুয়েলা। পরে বিভিন্ন সময় আরো অনেক দেশ যেমন এর সদস্যপদ গ্রহণ করে তেমনি  ইন্দোনেশিয়া (২০১৬), কাতার (২০১৯) এবং ইকুয়েডর (২০২০) এর মত কিছু সদস্যরাষ্ট্র এর সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে পাঁচ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্র ছাড়াও ওপেকে আরো আট সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। এগুলি হল—আলজেরিয়া, গ্যাবল, নাইজেরিয়া, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমির শাহী, অঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং বিষুবীয় গিনি।  

ওপেক এর শীর্ষস্থানে রয়েছে ওপেক সম্মেলন। বছরে অন্তত দুবার এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওপেক এ প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র একজন বোর্ড অফ গভর্নর নিযুক্ত করেন যার পরবর্তী স্তরে থাকে সচিবালয়। আবার সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে থাকেন একজন মহাসচিব ।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

লক্ষ্য ও কার্যাবলী;

ওপেক এর মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হল- তেল উত্তোলন, পরিশোধন, বিপনন, মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদি ব্যাপারে সাধারণ নীতি অনুসরণ করা যাতে প্রত্যেক সদস্যরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। ওপেক  আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খনিজ তেলকে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বরাজনীতি বা অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এছাড়াও ওপেকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বা কার্যাবলীগুলি হল-

a)      1) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের জোগান অব্যাহত রাখা।

b)      2)সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে তেল নীতির সমন্বয়-সাধন করা।

c)      3) পরস্পরকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের এক বিশাল এলাকা গঠন করা।

d)      4) সদস্যরাষ্ট্রগুলো যাতে তেলের ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকে নজর দেওয়া।

e)      5) অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনকভাবে তেল উৎপাদন ও সরবরাহের ব্যবস্থা করা।

f)      6) খনিজ তেল, পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী প্রভূতি দ্রব্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা,এবং মূল্যের অপ্রয়োজনীয় ওঠানামা রোধ করা।

g)      7) তেলের ক্রেতাদের যাতে অযথা হয়রানি হতে না হয় তা দেখা। প্রভূতি......

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

ওপেকের গুরুত্ব; 

    বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা তৈল সম্পদ ছাড়া অচল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে যে পরিমাণ তেল জমা আছে তা বিশ্বের মোট তৈল সম্পদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। পঞ্চাশের দশকের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি ওপেক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব-রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়। বর্তমান বিশ্বের মোট খনিজ তেলের প্রায় ৭৮ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্তত ১৬ শতাংশ ওপেকভুক্ত দেশগুলো উৎপাদন করে থাকে। তাই বিশ্ব রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে ওপেকের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও ওপেক বিভিন্নভাবে বিশ্ব-রাজনীতি তথা অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন-  

1) তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ: বিশ্বের মোট তৈল সম্পদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ওপেকের দখলে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের ব্যাপারে ওপেক গুরুত্বপূর্ণ্য ভূমিকা পালন করে। ওপেক মাঝে মাঝে অধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে তেলের দাম বেশ বাড়িয়ে দেয় বা তেল উৎপাদনে হ্রাসবৃদ্ধি ঘটায়।
2) বিশ্ব-রাজনীতি তথা অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ: বর্তমান বিশ্ব সভ্যতা তৈল সম্পদ ছাড়া অচল। ফলে ওপেক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খনিজ তেলকে একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বরাজনীতি তথা অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ওপেক তেল কূটনীতির মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির সমর্থন আদায় করে পশ্চিমি শিল্পোন্নত দেশগুলির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে।

3) আরব জাতীয়তাবাদের উত্থান ও প্রসার: ওপেকভুক্ত দেশগুলির প্রায় বেশিরভাগই আরব জাতিভুক্ত। ওপেক ‘তেল কূটনীতি’ এবং তার ব্যাপক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যাবলির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আরব জাতীয়তাবাদের উত্থান ও প্রসার ঘটায়।

4) অনুন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন: ওপেক তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলির উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ঠ তাৎপর। তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে ওপেক ১৯৭৬ সালে OFID (OPEC Fund for International Development) নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ।

5) পরিবেশবান্ধব কাজে প্রাধান্য: ওপেকভুক্ত দেশগুলো পরিবেশ রক্ষা বা সংরক্ষণ সংক্রান্ত নানা আন্তর্জাতিক আলোচনায় অংশ নেয়। ওপেক উন্নত দেশগুলির ওপর গ্রীণ ট্যাক্স বা সবুজ কর বসানোর কথা বলে। এছাড়া ওপেক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা বলে বিশ্বকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।

6) তৃতীয় বিশ্বের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা: বর্তমানে ওপেক বিশ্ব রাজনীতি তথা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ্য নির্ধারক। আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যতম তেল রপ্তানিকারক সংস্থা হিসেবে নিজের পরিচিতির সাথে সাথে  পশ্চিম এশিয়া তথা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে সফল।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়

ওপেকের সীমাবদ্ধতা: 

    ওপেক বিশ্ব-রাজনীতি তথা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ্য নির্ধারক হলেও এর উদ্দেশ্য ও কার্যাবলির মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকে গেছে। তেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করা ছাড়া অন্যান্য প্রায় সকল ক্ষেত্রে ওপেকভুক্ত দেশগুলি ব্যার্থ বলা চলে। তাই বিভিন্ন দিক থেকে ওপেকের সমালোচনা বা সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করা যায়। যেমন-

1) সদস্য রাষ্ট্রদের মধ্যে ঐক্যের অভাব; ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তেমন ঐক্য বা সমন্বয়মূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র ইরাকের ওপর মার্কিন আক্রমনের সময়েও অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্র নীরব থেকেছে। ঐক্য বা সমন্বয়ের অভাবে, ইন্দোনেশিয়া, কাতার  এবং ইকুয়েডর  এর মত গুরুত্বপূর্ণ্য সদস্যরাষ্ট্র ওপেক থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়।

2) সমস্থ তেল উৎপাদক দেশ এর অন্তর্ভুক্ত নয়; ওপেক খনিজ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংস্থ্যা হলেও, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ্য খনিজ তেল উৎপাদনকারি দেশ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন প্রভুতি দেশ এখনো ওপেকের সদস্যপদ গ্রহণ করেনি।

3) বানিজ্যগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে ব্যার্থতা; ওপেকভুক্ত দেশগুলি পরস্পরকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের এক বিশাল এলাকা গঠন করার কথা বললেও, এখনো কোনো স্পষ্ট বাণিজ্যিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি। ফলে ওপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলি তেমন বানিজ্যগত সুযোগ-সুবিধা পায়না।

4) রাজনৈতিক অস্থিরতা; ওপেকভুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে প্রায়ই রাজনীতিক অস্থিরতা দেখা যায়। তেলের উৎপাদন ও বন্টনের ওপর যার সরাসরি প্রভাব পরে। ফলে তেলের দামের ওঠানামা লেগেই থাকে। এইসব কারনে অনেক দেশই ওপেকভুক্ত দেশগুলি থেকে তেল আমদানি করতে আগ্রহী নয়।

5) তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির উন্নয়নে ব্যার্থতা;  ওপেক তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলির উন্নয়নের কথা বললেও এখনো তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি।  ওপেকের প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক সংগঠন OFID তাৎপর্যপূর্ণ কোন অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি।

    পরিশেষে বলা যায় বিশ্ব রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারের যে সম্ভাবনা ওপেকের ছিল ওপেক তা সঠিকভাবে সম্পাদান করতে পারেনি। তেল কূটনীতিকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, ওকেপ একদিকে যেমন পশ্চিমের সম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির মোকাবিলা করতে পারতো অন্যদিকে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারত। ওপেক সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ঐক্যমতের অভাবে এ দুটির কোনোটিই ঠিকমত করতে পারেনি।

মূল্যায়ন: 

    উপরিউক্ত সমালোচনা বা ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে ওপেকের গুরুত্ব অপরিসীম। ওপেক যেভাবে তেলের উৎপাদন, বন্টন, বিপনন, মূল্যনির্ধারণ প্রভূতি ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে তা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ ।

স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস 

 পেতে চাইলে

সরাসরি WhatsApp  করো 

8101736209 

এই নম্বরে 

বিশেষ দ্রষ্টব্য

টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়


Main Menu




 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code