The University of Burdwan
B.A. 4th Semester
Political Science (Honours)
CC-10; International Organizations
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা
ভূমিকা;
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বা এপেক হলো ২১ সদস্যের এমন একটি ফোরাম যা, পুরো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। ৮০এর দশকে আসিয়ান এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৯ সালে এপেক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদরদপ্তর সিঙ্গাপুরে অবস্থিত।
এপেক
এমন একটি আন্তঃসরকারি গোষ্ঠী বা সংগঠন যা অবাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি, মুক্তসংলাপ এবং
সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের মতামত এবং সমান সম্মানের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এপেকে
অংশগ্রহনকারী সদস্যদের কোনো চুক্তির বাধ্যবাধকতা নেই।
গঠন ও কাঠামো;
এপেক
হল ২১জন সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংস্থ্যা।
প্রথমে ১২ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিয়ে এপেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরা হল-
অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনি, দার-এস-সালাম, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর,
থাইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ও কোরিয়া।
১৯৯১
সালে চীন, হংকং, চীনা তাইপেই সদস্যপদ গ্রহন করে।
১৯৯৩
সালে মেক্সিকো ও নিউগিনি এপেকে যোগদান করে।
১৯৯৪
সালে চিলি ও ১৯৯৭ সালে পেরু, রাশিয়া ও ভিয়েতনাম এই সংস্থ্যার সদস্যপদ গ্রহণ করেছে।
এপেকের গঠন কাঠামোয়
প্রত্যেক সদস্যই সমান মর্যদা ও ক্ষমতার অধিকারী। এপেকে তিনজন পরিদর্শক থাকেন-
1)
Association of Southeast Asian Nations.
2)The
Pacific Economic Cooperation Council.
3)Pacific
Islands Forum Secretariat.
এছাড়া দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য রয়েছে চারটি কোর কমিটি। প্রত্যেক কোর কমিটির অধিনে আছে নিদিষ্ট কর্মীগোষ্ঠি। এই কর্মীগোষ্ঠি এপেকের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোর কমিটি যেসব নীতি নির্ধারণ করে সেগুলি এপেক এর বাৎসরিক শীর্ষ বৈঠকে পেশ করা হয়। যেসব নীতি বা সিন্ধান্ত বাৎসরিক শীর্ষ বৈঠকে গৃহীত হয় সেগুলি রূপায়নের দায়িত্ব এই কর্মিগোষ্ঠীর ওপরি ন্যাস্থ হয়।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী;
এপেক
একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংস্থা। এর মূল লক্ষ্য হলো সদস্যদের
মধ্যে বাণিজ্যগত সহযোগিতা প্রসারিত করা। প্রথম দিকে একটি আলোচনামূলক সংস্থ্যারূপেই
কাজ করতো। ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এপেককে অধিক শক্তিশালী ও কার্যকর করে
তোলার জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। তারপর থেকে এপেক এর কার্যাবলী ও প্রভাব
সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে এর মূল লক্ষ্য বা কার্যাবলীগুলো হল-
- বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নীতিগুলিকে সমর্থনদান।
- বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ
- অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা স্থাপন।
- সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
- অতি জাতীয় শিবিরগুলিকে বিনষ্ট করা।
- গণ-ধ্বংসকারী অস্ত্র ধ্বংসের জন্য আবেদন।
- সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অবাধ যাতায়াত ও পণ্যের আদান-প্রদান।
- ভারসাম্য বিশিষ্ট দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন।
- অভিন্ন অর্থনৈতিক নিয়ম কানুন।
বছরে একবার এর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র চীনপ্রজাতন্ত্র(তাইওয়ান) ছাড়া সকল সদস্য রাষ্ট্রের সরকারের প্রধানগণ এই বৈঠকে উপস্থিত হন। চীনপ্রজাতন্ত্র(তাইওয়ান) থেকে একজন মন্ত্রী পর্যায়ের আধিকারিক এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এপেক এর কার্যপদ্ধতি অনেকটাই বহুজাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ফোরামের মত। প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র এপেক এর শীর্ষ সম্মেলনে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানানোর যথেষ্ট সুযোগ পায়। এখানে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে। সদস্য রাষ্ট্রগুলির উপর কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়না। কারো ওপর কোনো দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়না।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
গুরুত্ব;
আন্তর্জাতিক
রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে এপেক এর গুরুত্ব অপরিসীম। এপেক হল প্রাচীন সভ্যতার
কেন্দ্রবিন্দু। এপেক এর আয়তন পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেক। যা বিশ্বের মোট
জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। এই অঞ্চলটি বিশ্বের মোট জি ডি পি এর ৫৫ শতাংশ এবং
বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৪৫ শতাংশ দখল করে আছে। এছাড়া যে বিষয়গুলির জন্য এই অঞ্চল
বর্তমানে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেগুলো হল- নিরাপত্তা ও পরিবহনের পথ, সমুদ্র
গর্ভের খনিজ পদার্থ, আন্টার্কটিকার প্রাকৃতিক সম্পদ প্রভূতি।
সমালোচনা;
অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনের
মত এপেক এর অনেক সীমাবদ্ধতা বর্তমান। যেমন;
১) এপেক ভুক্ত
দেশগুলির মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত দেশগুলির
অর্থনীতি বিপন্ন হচ্ছে।
২) এপেক শীর্ষ সম্মেলনে
সর্বসম্মিতিতে সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু বর্তমানে সদস্য সংখ্যা অধিক হওয়ায় অনেক বিষয়ে
সর্বসম্মতি সম্ভব হয়না।
৩) এপেক সদস্যরাষ্ট্রগুলির
মধ্যে ভাষা, ধর্ম ,বর্ণ, সংস্কৃতি প্রভুতি ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈচিত্র বর্তমান। ফলে সদস্যরাষ্ট্রগুলির
মধ্যে স্বার্থগত বিরোধ লেগেই থাকে।
৪) এপেকভুক্ত দেশগুলি
সমমর্যদা ও সমান ক্ষমতার অধিকারী হলেও কার্যক্ষেত্রে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির স্বার্থ
প্রাধান্য পায়।
৫) এপেকের সিন্ধান্তগ্রহণ
প্রক্রিয়া অতন্ত্য ধীরগতি সম্পর্ণ হওয়ায় এবং বছরে একবার মাত্র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ্য বিষয়েও সহজে সিন্ধান্তগ্রহণ সম্ভব হয়না।
মূল্যায়ন;
উপরিউক্ত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক রাজনীতি তথা অর্থনীতিতে এপেকের গুরুত্ব অপরিসীম। এপেক যদি সদস্যরাষ্ট্র গুলির মধ্যকার বিরোধকে মিটিয়ে একসাথে কাজ করে তাহলে নিঃসন্দেহে এপেক বিশ্ব রাজনীতি তথা অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ্য অংশে পরিণত হবে।
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
স্বল্প মূল্যে এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা নোটস(pdf) দেওয়া হয়
Main Menu
0 মন্তব্যসমূহ